গ্রাহকপর্যায়ে জ্বালানী তেল লিটারপ্রতি ৫-১০ টাকা কমানোর সুপারিশ সিপিডি‍‍`র

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

মে ২৮, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম

গ্রাহকপর্যায়ে জ্বালানী তেল লিটারপ্রতি ৫-১০ টাকা কমানোর সুপারিশ সিপিডি‍‍`র

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটারে ৫ থেকে ১০ টাকা কমানোর সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘স্টেট অব দ্য বাংলাদেশ ইকনোমি ২০২২-২০২৩’ শীর্ষক এক সভায় নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রবাসী আয় প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।

সিপিডি বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনার পর বর্তমানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতি লিটার ডিজেলে ৫ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনে ১৩ টাকা মুনাফা করে।

সিপিডি জানায়, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এই ৭ বছরে বিপিসি মোট ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। কর দেওয়ার পর নিট মুনাফা ৩৬ হাজার ৭৪ কোটি টাকা। আর এই সময়ে ৭ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা কর দিয়েছে বিপিসি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি খাতে বেশি ভর্তুকি দিয়েছে। ক্যাপাসিটি চার্জ, কুইক রেন্টাল এর মধ্যে অন্যতম। এখানে এখন কিছু করা যেতে পারে। পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর তুলে দিয়েও গ্রাহকপর্যায়ে দাম কমানো যেতে পারে।

তিনি বলেন, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ে, তখন দেশের বাজারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে, তখন স্থানীয় বাজারে দাম কমানো হয় না।

তিনি জানান, গত আগস্ট মাসে দেশে অকটেন, পেট্রলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৩৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। বৃদ্ধির ওই হার ছিল গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়। এ ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্যে বেশি দামে আমদানি করতে হয়েছে।

এখনও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ উল্লেখ করে ড. ফাহমিদা বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই প্রভাব পড়ে। বাড়তে থাকে পণ্যমূল্য এবং মূল্যস্ফীতির হার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর গত বছর আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়েছিল।

Link copied!